গোলাম নবী খালি করলেন সরকারি বাংলো, এবার আব্দুল্লাহ- মেহেবুবার পালা! সরকারি খরচে ভোগবিলাসের দিন শেষ।
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার সাথে সাথে বেশকিছু নেতাকে হতাশ হতে হয়েছে। এর মধ্যে সেই সব নেতারাও রয়েছেন যারা জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের পূর্ব মুখ্যমন্ত্রীরা শ্রীনগরের ভিভিআইপি এলাকায় বাংলো পেয়েছিল। কিন্তু এখন তাদেরকে সেই বাংলো হাতছাড়া করতে হচ্ছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদের নামও সেই তালিকায় রয়েছে। শ্রীনগরে উনি যে বাংলো পেয়েছিলেন সেখানে উনাকে কোনো ভাড়া পর্যন্ত দিতে হয় না। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ অপসারণ না করলে আজীবন এই নেতারা সুবিধা ভোগ করতে পারতেন।
কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদকে ওই বাংলো খালি করতে হয়েছে। গোলাম নবী আজাদ ২০০৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৮ সালের জুলাই পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যদিও তিনি শ্রীনগরে বাস করেন নি, তবুও তিনি বছরের পর বছর গোপাকর রোডের জেথিয়রে জম্মু-কাশ্মীর ব্যাংক গেস্টহাউসটি নিজের অধীনে রেখেছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেস্ট হাউসটি খালি করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই সম্পত্তি ব্যাংকের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি। মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহরও গুপাকর রোডে ভিভিআইপি বাংলো রয়েছে। জানিয়ে দি, গেস্ট হাউসটিকে তার স্থায়ী বাংলো বানিয়ে আজাদ ‘অস্থায়ী আবাস’ নামে বাস করছিলেন।
এখন জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ মেহবুবা মুফতি থেকে শুরু করে উমর আব্দুল্লাহ সকলকেই তাদের ভিভিআইপি বাংলো ছেড়ে দিতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরের এক বিশেষ এক্ট অনুযায়ী সেখানের মুখ্যমন্ত্রীরা অবজীবন বাংলো পাওয়ার সুবিধা ভোগ করতেন। ১৯৯৬ সালে এক্টের পরিবর্তন করে আরো বেশকিছু সরকারি সুযোগ সুবিধা জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে নেতাদের উপর সরকারি খরচ ছিল অন্যতম। তবে এবার ধারা ৩৭০ অপসারণের সাথে সাথে ওই সুবিধাও অপসারণ হয়ে গেছে। দেশের জনতার টাকায় জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা মেডিকেল, ট্রান্সপোর্ট থেকে শুরু করে সমস্থ রকমের সুবিধা ভোগ করতেন। এখন সব সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হবে।
India Rag
Comments
Post a Comment