বইমেলাতে দূষণ হয়, রাজনৈতিক সভায় দূষণমুক্ত হয় ময়দান

সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়: ময়দানে বইমেলা হবে না, কিন্তু হতে পারে রাজনৈতিক জনসভা। জনসমাগম দুই ক্ষেত্রেই হয়। কোপ পড়েছে শুধু বইমেলার উপরে। উনিশের ব্রিগেডে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ দেখে প্রশ্ন তুলছেন বইপ্রেমীরা। পরিবেশবিদরাও এই প্রসঙ্গে বিশেষ কিছু বলছেন না। বললেও প্রতিবাদ অত্যন্ত নরম সুরে।

চার পাঁচ বার স্থান পরিবর্তন করে বইমেলার স্থান এখন সল্টলেক। তবে সবথেকে বেশী ভিড় টানত ময়দানের বইমেলা। এখনও বহু বইপ্রেমী রয়েছেন যাদের এখনও অভিযোগ বইমেলাটা ময়দানেই মানায়। এর থেকে ভালো জায়গা কিছুই হতে পারে না। কিন্তু তাঁদের আকুতি আর কয়জন শোনেন। বাইপাস থেকে সল্টলেকের আশেপাশেই এখন ঘুরে বেরায় বইমেলা। সবথেকে সহজ গন্তব্য হয়েও ধুলোর জেরে বইমেলাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ময়দান থেকে।

 

পরিবেশবিদরা প্রতিবাদে সরব হয়ে বইমেলাকে স্থানান্তকরন করতে বাধ্য করেন। তারপর থেকে বইমেলার স্থায়ী জায়গা হয়নি। বইমেলার চাহিদা না কমলেও ক্রমশ জনতার থেকে দূরে সরে গিয়েছে এই মেলা। এই ধুলোই যদি বইমেলা ময়দান থেকে সরে যাওয়ার কারণ হয়ে থাকে বই প্রেমীরা বলছেন একই কারণে ব্রিগেডে এখনই বন্ধ হওয়া উচিৎ রাজনৈতিক সমাবেশও।

১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সভায় সকাল থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ এসে হাজির হন। ধুলোর পরিমাণ এতটাই বেশী ছিল যে নাকে রুমাল দিয়ে ছাড়া হাঁটা দায় হয়ে উঠেছিল। যারা ব্যবসার জন্য বিভিন্ন জিনিষের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তাঁরাও ধুলো থেকে বাঁচতে মুখে রুমাল বাঁধতে বাধ্য হয় না। ধুলোয় ঢাকা পরে আবছায়া হয়ে যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত কিচগু ভাবছেন কি ? তিনি বললেন, “ধুলো তো হবেই, অত মানুষ এলে ধুলো হবেই।” সেটা নিয়ে কোনও প্রতিবাদের ভাবনা? তা কিন্তু নেই বলে জানাচ্ছেন সুভাষবাবু। বইপ্রেমিদের অভিযোগ ঠিক এখানেই। পরিবেশবিদ হিসাবে তিনি যখন বইমেলার ধুলো নিয়ে দূষণের প্রশ্ন তুলেছিলেন , ব্রিগেডে জনসভা নিয়ে তেমন কিছু নেই কেন?

এই প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ জয়িতা কুণ্ডু কুন্তির সুরও তুলনামূলক নরম। তিনি বলেন, “আমরা শহর জুড়ে সমস্তরকম দূষণ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা অভিযোগত্র জমা দেব। ব্রিগেডে জনসভা নিয়ে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা করিনি। কিছু থেমে আবারও বলেন, “এটা ঠিকই যে ব্রিগেডে কাল ধুলোর জন্য ব্যাপক দূষণ হয়েছে। কিন্তু ওটাই তো শহরের সবথেকে বড় ফাঁকা জায়গা। সরকারকে যদি এই দূষণ নিয়ে ভাবতে হয় তাহলে এই এলাকার বিকল্প জায়গা ভাবতে হবে।”

ধুলো নিয়ে এইটুকু বলেই তিনি বলেন , “কাল শুধু ব্রিগেড নয় সমস্ত জেলা দূষিত হয়েছে । রাস্তাঘাটে পড়েছিল থার্মোকলের থালা। সঙ্গে জত্রতত্র মল মুত্র বিসর্জনও করা হয়েছে। সরকারের এগুলির উপর নজরদারি করা উচিত। তাহলেও মানুষের ভালো হতে পারে।”
উনিশের ব্রিগেডের পরেই বাম ও বিজেপির জনসভা রয়েছে সেই ব্রিগেডেই। ধুলো উড়বে কী?

The post বইমেলাতে দূষণ হয়, রাজনৈতিক সভায় দূষণমুক্ত হয় ময়দান appeared first on Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper.


Kolkata News

Comments

Popular posts from this blog

sangbad pratidin

ছিনতাইবাজদের কবলে বলি অভিনেত্রী, লুটের পর চূড়ান্ত হেনস্তার অভিযোগ