২৭ শে জুন: বন্দে মাতরম্ এর রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ইংরেজদের দিয়েছিলেন উচিত শিক্ষা।
বন্দে মাতরম্ সেই ধ্বনি যা শোনার পর প্রকৃত দেশভক্তদের মনের মধ্যে দিয়ে এক প্রবাহ বয়ে যায়। এটা সেই ধ্বনি যা শ্লোগান দিয়ে ইংরেজদের মাড়িয়ে দিতেন স্বাধীনতা সাংগ্রামীরা। এই গীতের রচয়িতা ভারত মাতার সুপুত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজকের দিনেই ২৭ জুন ১৮৩৮ সালে
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করার পর হুগলী থেকে কলেজের শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। জানিয়ে দি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চাইতেন ভারতীয় ভাষাকে যেন ইংরাজি ভাষা দাবিয়ে না রাখে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিজের লেখা ও সাহিত্যের মাধ্যমে দেশবাসীকে জাগ্রত করতেন। দেশের সম্পদকে কিভাবে ইংরেজরা লুটে নিচ্ছে এবং দেশের সংস্কৃতি ভাষাকে বিলুপ্ত করে কিভাবে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও ইংরাজি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে তা উনি লেখার মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরতেন। ১৮৬৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার প্রথম উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী রচনা করেছিলেন। উনি ১৮৬৬ সালে কপালকুন্ডলা ১৮৬৯ সালে মৃণালিনী ১৮৭৩ সালে বিষবৃক্ষ, ১৮৭৭ সালে চন্দ্রশেখরের, ১৮৭৭ সালে রজনী, ১৮৮১ সালে রাজ এবং ১৮৮৪ সালে দেবী চৌধুরানী রচনা করেছিলেন। ১৮৭২ সালে উনি মাসিক পত্রিকা বঙ্গদর্শন প্রকাশিত করেন। ‘আনন্দমঠ’ উনার সবথেকে বিখ্যাত উপন্যাস ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এই আনন্দমঠ থেকেই ‘বন্দে মাতরম্’ গীত নেওয়া হয়েছিল।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন মহান সাহিত্যকার হওয়ার সাথে সাথে একজন দেশভক্ত ছিলেন। চাকরি জীবনে উনি বহু ইংরেজকে শিক্ষা দিয়েছিলেন। ইংরেজদের পক্ষ থেকে বহুবার হুমকি পাওয়ার পরেও উনি দেশের জন্য টানা কাজ করে গেছেন এবং দেশবাসী জাগ্রত করার জন্য পরিশ্রম করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলতেন ভারত পুন্যভূমি এবং দেশের জন্য কাজের মাধ্যমেই মোক্ষ(জন্ম মৃত্যুর পক্রিয়া থেকে মুক্তি ) লাভ সম্ভব। উনার দেওয়া বন্দে মাতরম্ গীত দেশের মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনকে তীব্র করতে এবং ইংরেজদের তাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। আজ উনার জন্মদিনে India Rag টীম মহান দেশভক্তকে জানাই কোটি কোটি প্রণাম।
India Rag
Comments
Post a Comment