আমেরিকা থেকে ভারতের জন্য এল সুখবর! মনিটরিং কারেন্সি তালিকা থেকে বেরিয়ে এল ভারত।


নরেন্দ্র মোদীর(Narendra Modi) সরকারের দ্বিতীয় কার্যকাল  শুরু হতে না হতেই আমেরিকা থেকে ভারতের(India) জন্য ভালো খবর সামনে এসেছে। আমেরিকা ভারতকে তার মনিটরিং কারেন্সি লিস্ট থেকে বাইরে করে দিয়েছে। এর অর্থ, বাজারে ভারতীয় টাকার মূল্যায়নের বিশাসযোগ্যতা নিয়ে আমেরিকা সরকার পুরোপুরি আশস্ত আছে। আমেরিকা ভারতের সাথে সাথে সুইজারল্যান্ডকেও এই সূচি দিয়ে বের করে দিয়েছে। যদিও, চীন ও জাপানের মতো দেশ এখনো এই সুচির মধ্যে রয়েছে। কারেন্সি মনিটরিং লিস্ট থেকে বাইরে আসার ফলে বিশ্বব্যাপী বাজারে ভারতের ধার আরো বেশি মজবুত হতে পারবে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে দেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি নিয়ে আমেরিকার সন্দেহ থাকে, আমেরিকা সেই দেশ গুলিকে নিজের কারেন্সি মনিটরিং তালিকায় রাখে। এরপর আমেরিকা প্রশাসন ফরেক্স বাজারে সেই দেশগুলির উপর বিশেষ নজর রাখে। এছাড়া, যদি কোনো দেশে বড় মাত্রা বা স্কেলে কারেন্সি ম্যানুপুলেশন করতে ধরা পড়ে তবে আমেরিকা নিজের বাজার অব্দি সেই দেশের কোম্পানি গুলির প্রবেশ সীমিত করে দেয়। আমেরিকার সাথে ব্যাবসা করায় যেই সব দেশের ট্রেড সারপ্লাস ২০ বিলিয়ন ডলার থেকে বেশি আর যেই দেশের সরকার একটানা বাজারে হস্তক্ষেপ করে আমেরিকা সেই দেশগুলিকে নিজের এই লিস্টে রাখে। আমেরিকার দ্বারা ভারতকে এই লিস্ট থেকে সরানোর পর দুটি দেশের বিগড়ানো ব্যাবসার সম্পর্কের মধ্যে মধুরতা দেখা যেতে পারে।

আপনাদে জানিয়ে দি, বিগত অনেক সময় ধরেই আমেরিকা ভারতের উপর অনেক বেশি আমদানি শুল্ক লাগানোর দোষ দিয়ে এসছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ট্রম্প তো ভারতকে শুল্কের রাজা ঘোষিত করে দিয়েছে। এর সাথেই আমেরিকা ভারতকে জেনেরালাইসড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স সূচি থেকেও বাইরে করার কথাও বলেছিলেন। এই সূচিতে আমেরিকা বিকাশশীল অর্থব্যাবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে ও সেই দেশগুলির থেকে আমদানি হওয়া বস্তু গুলির উপর অনেক কম হারে আমদানি শুল্ক লাগায়।

আমেরিকা এখনো অব্দি ভারতকে জিএসপি লিস্ট দিয়ে বাইরে তো করেনি কিন্তু যদি ভবিষ্যতে করে তবে তাকে ভারতের তরফ দিয়েও করা আমদানি শুল্কের মুখমুখী হতে হবে। আমেরিকা এমনিতেই চীনের সাথে ব্যাবসা যুদ্ধে বিজড়িত আছে। তাই আমেরিকা কখনোই চাইবেনা যে সে চীনের সাথে সাথে পৃথিবীর পঞ্চম সবচেয়ে বড় অর্থ ব্যবস্থার সঙ্গে নিজের ব্যাবসায়িক মতভেদকে বৃদ্ধি করুক।কারেন্সি মানিটারী লিস্ট থেকে বাইরে আসার ফলে ভারতের অর্থ ব্যবস্থার উপর এর কোনো বিশেষ প্রভাব তো পড়েনি।

কিন্তু ভারতে নতুন সরকার আবার সাথেই আমেরিকা স্পষ্ট রূপে সংকেত দিয়ে দিয়েছে যে সে ভারতের সাথে মিলে কাজ করতে ইচ্ছুক। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প প্রথমেই দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদীর সাথে কাজ করার কথা বলেছেন। ভারত ও আমেরিকার রক্ষা ক্ষেত্রে একেঅপরের জন্য তো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারি তো প্রথমেই তৈরি হয়ে গেছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী এটা বলা ভুল হবেনা যে আগামী সময় ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে আরো বেশি মিত্রতা দেখা যেতে পারে।



India Rag

Comments

Popular posts from this blog

রুশ ইউক্রেনের টক্কর এখন অতীত! পাকিস্তানের মাটিতে পড়ল ভারতের সুপারসনিক মিসাইল

sangbad pratidin

all links of India Rag