চাকরি নেই দেশে, ৪৫ বছর পর রেকর্ড গড়ল বেকারত্বের হার

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৫ বছর পর দেশের বেকারত্বের হার সব থেকে বেশি বিজেপি সরকারের আমলেই। ২০১৭-১৮ বর্ষকালে রেকর্ড গড়ল বেকারত্বের হার। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিসের পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রথমবার সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব নিয়ে গোটা দেশে একটি সমীক্ষা করে সরকার। এই সমীক্ষার ফলাফল কয়েকদিনের মধ্যেই দেশের মানুষের সামনে আসবে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দি ঘোষণার পর থেকে এই সমীক্ষা শুরু করে দুটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে  ১৯৭২-৭৩ সালে দেশে বেকারত্বের হার ছিল সবথেকে বেশি। ২০১৭-১৮ বর্ষকাল সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেল। ১৯৭২-৭৩ বর্ষকালের থেকে ২০১৭-১৮-এ বেকারত্বের হার বেড়েছে ৬.১ শতাংশ।

[শুরু বাজেট অধিবেশন, রাফালে নিয়ে মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি]

এই সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে শহরে ও গ্রামের হিসেবে বেকারত্বের হারের পার্থক্য আছে। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ৭.৮ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় যেই হার ৫.৩ শতাংশ। তরুণ প্রজন্মের বেকারত্বের হার আরও অনেক বেশি। ২০১৭-১৮ বর্ষকালে এর হার সর্বোচ্চ, নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, “২০০৪-০৫ থেকে ২০১১-১২ বর্ষকালে গ্রামীণ শিক্ষিত মহিলাদের বেকারত্বের হার ছিল ৯.৭ থেকে ১৫.২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ বর্ষকালে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৩ শতাংশ।” গ্রামে শিক্ষিত ছেলেদের ক্ষেত্রে এই একই সময়কালে বেকারত্বের হার ছিল ৩.৫ থেকে ৪.৪ শতাংশ। সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৫ শতাংশ। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সসীমার মধ্যে গ্রামীণ ছেলেদের বেকারত্বের হার ২০১১-১২ বর্ষকালে ছিল ৫ শতাংশ। তিনগুণেরও বেশি বেড়ে তা হয়েছে ১৭.৪ শতাংশ। ১৫-২৯ বয়সসীমার মধ্যে মেয়েদের বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৪.৮ শতাংশ থেকে ১৩.৬ শতাংশ।

[‘বিনামূল্যে যৌনতার প্রতিশ্রুতি দেবেন রাহুল’, সমাজকর্মীর মন্তব্যে বিতর্ক]

বাবা কৃষিকাজ করলেও ছেলেরা খেতে কাজ করতে চাইছে না। সরে আসছেন শহরের বিভিন্ন কাজে। এটা দেশের কৃষিতে বড় প্রভাব ফেলছে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়। শহরের কাজের মধ্যে সব থেকে বেশি চাকরি নির্মাণের কাজে। আর অধিকাংশ বেকাররা সেই নির্মাণের কাজে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাচ্ছে। জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনকে বাদ দিয়ে দুটি বেসরকারি সংস্থাকে এই সমীক্ষা করতে দেওয়ায় আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন দুই আধিকারিক পিসি মোহন ও জেভি মীনাক্ষী। কয়েকদিনের মধ্যে এই সমীক্ষার রিপোর্ট মানুষের সামনে প্রকাশ করা হবে।


sangbad pratidin

Comments

Popular posts from this blog

রুশ ইউক্রেনের টক্কর এখন অতীত! পাকিস্তানের মাটিতে পড়ল ভারতের সুপারসনিক মিসাইল

sangbad pratidin

all links of India Rag