১৭ মুসলিমকে বাঁচিয়েছিল, তারপরেও আবদুল ও সাবানা ফাঁসিয়েছিল শশীকান্তকে! ১৫ বছর বিনা কারণে জেল।
সাবারমতী এক্সপ্রেস ট্রেনে কর সেবকদের আগুন দেওয়ার ভয়াবহ ঘটনা প্রায় 18 বছর হয়ে গেছে। গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এই ঘটনার পরেই ঘটিত হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে নিরীহ বহু লোককেও জড়িত করা হয়েছিল। দোষীদের ধরার আড়ালে ব্যক্তিগত শত্রুতার প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনই একটি ঘটনা শশীকান্তের। এখন শশীকান্তের স্ত্রী মঙ্গলাবেন গুজরাট সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে তার স্বামী দুর্ভাবনার শিকার হয়েছিলেন। তাই এখন তাদের মামলা-মোকদ্দমার ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
আসলে দাঙ্গার পর পলিশের টার্গেটে ছিল হিন্দু সম্প্রদায় এর লোকজন। কারণ দেশীয় মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া ঘটনাটিকে এক তরফা দেখিয়ে হিন্দুদের দোষী প্রমান করতে ব্যাস্ত ছিল বলে দাবি উঠে। দাঙ্গার পর শশীকান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আসলে পাড়ায় থাকা আব্দুল তার স্ত্রীকে মারধর করতো। সেখানে শশীকান্ত বাধা প্রদান করতো এবং আব্দুলকে তিরস্কারও করেছ। তবে আব্দুল তার ব্যক্তিগত জীবনে শশীকান্তের হস্তক্ষেপ পছন্দ করতো না। তাই সে এটার বদলা নেওয়ার জন্য শশীকান্তকে ফাঁসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
দাঙ্গার সময় বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বহু মুসলিম পরিবারকে শশীকান্ত রক্ষা করেছিল। কিন্তু তার প্রতিদান সরূপ আব্দুল পরিকল্পনা করে শশীকান্তকে ফাঁসিয়েছিল। শশীকান্ত এর দোকান পুড়ে যায়, তাই উনি পরিবারকে নিয়ে কিছুদিনের জন্য ভোপালে চলে যান। কিন্তু মিডিয়া ও কট্টরপন্থীরা মিলে এটা ছড়িয়ে দেয় যে উনি দাঙ্গা করে পালিয়েছেন। এরপর ২০০৫ সালে শশীকান্ত রেহাই পেয়েছিলেন, কিন্তু আব্দুল দাবি করে যে শশীকান্ত নাকি তাকে হুমকি দিচ্ছে। ফলে পুলিশ আবার উনাকে জেলে অন্যায়ভাবে ঢুকিয়ে দেয়। শশীকান্ত ১৭ জন মুসলিমকে দাঙ্গার হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিল বলে জানায় এলাকাবাসী। কিন্তু আব্দুল তার নিজের স্বার্থের জন্য ফাঁসিয়ে দেয়।
শাবানা বানো নামের এক মুসলিম মহিলাও শশীকান্ত এর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিল। এখন সে স্বীকার করেছে যে ১০,০০০ টাকা নিয়ে সে এই মিথ্যা আদালতে বলেছিল। এখন শাবানা গুজরাট ছেড়ে পালিয়েছে। ১৫ বছরে জীবন অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। শশীকান্ত জেল থেকে বেরিয়ে এসে খুবই অপমানিত বোধ করতেন এবং কিছুদিনের মধ্যে হার্ট এট্যাকে মারা যান। এখন বিধবা স্ত্রী সরকারের কাছে দাবি করেছে ক্ষতিপূরণ এর জন্য। এইভাবে গুজরাটে আরো কিছু মামলা সামনে এসেছে যেখানে নির্দোষ হিন্দুদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
India Rag
Comments
Post a Comment