পাকিস্তানে গুরুদ্বারার পুরোহিতের মেয়েকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্মান্তকরণের পর বিয়ে
পাকিস্তানের লাহোরে ননকানা সাহিব এলাকা থেকে এই শিখ কিশোরীর জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিয়ের মামলা সামনে এসেছে। ওই কিশোরী অনেকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার জোর করে তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে ইসলাম গ্রহণ করানো হয়। ১৯ বছরের ওই কিশোরীর নাম জগজিৎ কৌর বলে জানা যায়। আর সে গুরুদ্বারা তম্বু সাহিব এর পুরহিত ভগবান সিং এর মেয়ে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে তাঁকে ইসলাম কবুল করানো হয়।
জগজিৎ কৌর এর পরিবার জানায়, যদি তাঁদের মেয়েকে ছেড়ে না দেওয়া হয় তাহলে তাঁরা পাঞ্জাব (পাকিস্তান) এর রাজ্যপালের ঘরের সামনে নিজেদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেবে। জগজিৎ এর ভাই সুরিন্দর সিং জানান, ‘আমাদের পরিবার এখন চরম সঙ্কটের সন্মুখিন। গুণ্ডারা জোর করে আমাদের ঘরে ঢুকে আমার বোনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তাঁরা তাঁর উপর অত্যাচার করে তাঁকে ইসলাম কবুল করার জন্য বাধ্য করে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অভিযোগ জানানোর জন্য পুলিশ স্টেশনে গেছিলাম। বড়বড় অফিসারদের সাথে আমরা সাক্ষাৎ করি, কিন্তু আমাদের অভিযোগে কেউ কর্ণপাত করেনি। ওই গুণ্ডারা আবারও আমাদের বাড়িতে এসে অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। তাঁরা শাসিয়ে বলে যায় যে, আমরা যদি অভিযোগ তুলে না নিই, তাহলে আমাদের পেয়ের উপর আরও অত্যাচার চালাবে তাঁরা এবং তাঁকে জোর করে মুসলিম বানাবে।” পরিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আর পাকিস্তানের প্রধান বিচারক আসিফ সইদ এর কাছে জগজিৎ কৌরের সুরক্ষিত রেহাই এর দাবি করেছে।
জগজিৎ এর আরেক ভাই মনমোহন সিং বলেন, ‘গুণ্ডারা আমাদের পরিবারের মানুষদের হুমকি দিয়ে গেছে যে, আমরা যদি অভিযোগ তুলে না নিই তাহলে তাঁরা আমাদের মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলবে। আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আর সেনা প্রধান কমর জাভেদ এর কাছে আমাদের সাহায্য করার জন্য আবেদন জানিয়েছি। এই ঘটনার প্রভাব করতারপুর করিডরে পড়তে পারে।” পাকিস্তানের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তাঁরা জানায় যে, এই ঘটনা নিয়ে ননকানা সাহিবে জরুরি বৈঠক হবে।
শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তাঁরা শুক্রবার রাজ্যপালের বাড়িতে করতারপুর করিডর নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স চলার সময় তাঁরা রাজ্যপালের ঘরের বাইরে প্রদর্শন করবে। দিল্লীর শিখ গুরুদ্বারার প্রবন্ধক তথা আকালি দলের নেতা মনজিনদর সিং সিরসা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। উনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর বিদেশ মন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের কাছে এই ইস্যু আন্তর্জাতিক স্তরে তোলার জন্য আবেদন জানান। জগজিৎ কৌরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁকে জোর করে ইসলাম কবুল করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে দেখা যাচ্ছে। ইসলাম কবুলের পর তাঁর নাম আয়েশা রাখা হয়েছে। এরপর মৌলবি এক মুসলিম ব্যাক্তির সাথে তাঁর নিকাহ করিয়ে দেয়।
India Rag
Comments
Post a Comment