বড় খবর: মোদী সরকারের প্রথম দিনেই কাশ্মীরের তিন যায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপ, এনকাউন্টারে খতম আট জঙ্গি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) যখন দিল্লীতে নতুন সরকারের সাংসদের হাতে মন্ত্রীত্ব বণ্টন করছিলেন। আরেকদিকে তখন জম্মু কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটছিল। ‘একটা ভোট, সন্ত্রাসবাদের উপর চোট” স্লোগান দিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম দিনেই জম্মু কাশ্মীরে তিনটি জঙ্গি কার্যকলাপ ঘটে। শুক্রবার জম্মু কাশ্মীরের ত্রালে জঙ্গিরা সিআরপিএফ (CRPF) এর ক্যাম্পে হামলা করে। সিআরপিএফ এর ১৮০ ব্যাটেলিয়ান ক্যাম্পে জঙ্গিরা গুলি বর্ষণ করে। যদিও এই ঘটনায় সিআরপিএফ এর জওয়ানদের (Indian army) কোন ক্ষতি হয়নি। সিআরপিএফ জওয়ানেরাও জঙ্গিদের গুলির বদলে পালটা জবাব দেয়। সিআরপিএফ এর পালটা হানায় খতম হয় দুই জঙ্গি।
শুক্রবার জম্মু কাশ্মীরের কিশতবাড় এলাকায় জঙ্গি আর সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেনার এনকাউন্টারে খতম হয় ৩ জঙ্গি। জঙ্গির গুলিতে আহত হন দুই পুলিশ কর্মী। পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মীরের ফৈজি পুলের আশেপাশে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে সেনা সার্চ অপারেশন শুরু করে। সেনাকে দেখে জঙ্গিরা গুলি চালায়। আর সেনার পালটা হানায় খতম হয় তিন জঙ্গি।
জম্মু কাশ্মীরের শোপিয়ানেও সেনা আর জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শোপিয়ানের সুগান এলাকার ঘনাড গ্রামে হিজবুল আর লস্করের কম্যান্ডারদের ঘিরে ফেলে সেনা। সিআরপিএফ আর পুলিশ সংযুক্ত অভিযান চালিয়ে তিন জঙ্গিকে খতম করে।
প্রধানমন্ত্রী যেই দিন দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন, সেই দিনে (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) কাশ্মীরের বারামুলা জেলার সাপোরে সেনার এনকাউন্টারে খতম হয় এক জঙ্গি। আরেকদিকে ডাঙ্গর পোরা এলাকার বুনপোরায় সেনার হাতে খতম হয় লস্কর এ তৈবার দুই জঙ্গি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি ২০১৯ এর নির্বাচনের আগে কংগ্রেস তাঁদের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তাঁরা ক্ষমতায় আসলে জম্মু কাশ্মীর থেকে সেনা উঠিয়ে নেবে। এবং দেশ থেকে ‘দেশদ্রোহী” আইনও তুলে দেবে। কিন্তু বিজেপি বরাবরই বলে এসেছে যে, তাঁরা না কাশ্মীর থেকে সেনা হটাবে, না দেশদ্রোহী আইন তুলবে। উপরন্তু বিজেপি এটা জানিয়েছিল যে, তাঁরা ক্ষমতায় এলে দেশদ্রোহী আইন আরও কঠোর করবে। এবং কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেবে।
India Rag
Comments
Post a Comment