“নরেন্দ্র মোদী ইমরান খানের ফোন পর্যন্ত তোলে না, আমাদের কি কোনো সন্মান নেই?”: মরিয়ম শরীফ, পাকিস্তানি নেত্রী।
নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন তিনি পাকিস্তানকে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন শান্তি বজায় রাখার জন্য। প্রধানমন্ত্রী পদের শপদ গ্রহণের সময় উনি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অবশ্য জিহাদের নামে তৈরি দেশ পাকিস্তান শেষমেষ শান্তি বজায় রাখতে পারেনি। এখন নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আবার উনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য শপদ নেবেন। তবে এবার উনি শপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাননি নরেন্দ্র দামোদর।দাস মোদী।
জানিয়ে দি, এখন পাকিস্তানের অবস্থা খুবই শোচনীয়। পাকিস্তান ভারতের সাথে বার্তা করে রাস্তা বের করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মোদী কোনোভাবেই পাকিস্তানকে রাস্তা দিচ্ছেন না। মুখে শান্তি শান্তি বার্তা নিয়ে পেছন থেকে ছুরি মারা পাকিস্তানের শ্বাস আটকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ইমরান খানকে নরেন্দ্র মোদীর শপদ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়নি এনিয়ে পাকিস্তানের মিডিয়া ও রাজনৈতিক জগতে ভূমিকম্প শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানে এটা এখন রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। লাগাতার এই ইস্যুতে ডিবেট চলছে। পাকিস্তান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়ম শরীফ এই বিষয়ে বড় মন্তব্য করেছেন। মরিয়ম শরীফ, ইমরান খানের সমালোচনা করে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী তো ইমরান খানের ফোন পর্যন্ত তোলে না। ইমরান খানের উপর আক্রমণ করে উনি বলেন, ” ইমরান খান পাকিস্তানের মর্যাদাকে অনেক নামিয়ে দিয়েছেন।” মরিয়ম শরীফ বলেছেন আমাদের কি কোনো সন্মান নেই যে ভারত আমাদের কোনো পাত্তা দিচ্ছে না।
এখন আরো একটা বিষয়ের উপর ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। সেটা হলো পাকিস্তানের পার্মানেন্ট চিকিৎসা। মোদী পুরো বিশ্বের কাছে পাকিস্তানকে নিয়ে যে চাপ সৃষ্টি করেছে সেটা থেকে এটা স্পষ্ট যে মোদী ২.০ পাকিস্তানের চিকিৎসার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে। এটা নিয়ে পাকিস্তানের মধ্যেও একটু টেনশন রয়েছে। ভারতে নির্বাচন হওয়ার কিছু মাস আগেই পাকিস্তানের এক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন। উনি বলেছিলেন যদি নরেন্দ্র মোদী ভারতে থেকে যায় তবে পাকিস্তানের অস্থিত বিপদে পড়ে যেতে পারে।
India Rag
Comments
Post a Comment